ইসমাইল খান - উইকিপিডিয়া
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান | |
---|---|
প্রথম উপাচার্য | |
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় | |
কাজের মেয়াদ ১৪ মে ২০১৭ – ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | |
উত্তরসূরী | ওমর ফারুক ইউসুফ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মধ্যম মঘাদিয়া, মীরসরাই, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
মাতা | হোসনে আরা বেগম |
পিতা | মো. আকরাম খান |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | চট্টগ্রাম কলেজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়া |
পেশা | চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক |
ইসমাইল খান একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক। তিনি একজন ফার্মাকোলজিস্ট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চমেবি) প্রথম উপাচার্য ছিলেন।[১] এই পদে নিয়োগ লাভের আগে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) উপাধ্যক্ষ এবং অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
ইসমাইল খান চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মধ্যম মঘাদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. আকরাম খান ও মা হোসনে আরা বেগম।
তিনি মীরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাকোলজিতে এমফিল এবং অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল এডুকেশনে (এমই) পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]
ইসমাইল খান ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ছাড়াও তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ তিন বছর শিক্ষকতা করেছেন। পাশাপাশি তিনি মালয়েশিয়ার সাইবারজায়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অতিথি অধ্যাপক।[৪]
কর্মজীবনে চিকিৎসা ও অধ্যাপনার পাশাপাশি ইসমাইল খান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও চিকিৎসা অনুষদের নির্বাচিত ডিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান এবং মেডিকেল কলেজটির উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫]
ইসমাইল খান ২০১৭ সালের ১৪ মে পরবর্তী চার বছরের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০২১ সালে প্রথম মেয়াদ পূর্তির পর থেকে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে আরও চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে পুনঃনিয়োগ লাভ করেন।[৬] ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[১]
ইসমাইল বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। ছাত্রজীবনে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি (১৯৮২-১৯৮৩) ছিলেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) এর রিসার্চ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬][৭]
- ↑ ক খ "অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন চমেবি উপাচার্য"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. ইসমাইল"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১১ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১।
- ↑ "ডা. ইসমাইল খান চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় মেয়াদে ভিসি"। দৈনিক আাজাদী। ২৭ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১।
- ↑ "মালেশিয়ার সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃক "ভিসিটিং প্রফেসর" সম্মাননায় ভূষিত হলেন চমেবির উপাচার্য"। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ১১ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১।
- ↑ "চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে পুনঃনিয়োগ পেলেন ইসমাইল খান"। প্রথম আলো। ২৭ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১।
- ↑ ক খ "সিএমইউর উপাচার্য পদে ডা. ইসমাইল আরও ৪ বছর"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৬ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১।
- ↑ "দ্বিতীয় মেয়াদে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইসমাইল খান"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৬ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১।