ঝিনুক শিল্প - উইকিপিডিয়া
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ঝিনুক শিল্প হলো এমন একটি শিল্প যা সামুদ্রিক প্রাণি ঝিনুক নির্ভর এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সুদীর্ঘকাল থেকে প্রতিষ্ঠিত।[১] যদিও বাংলাদেশের ৬৯,৯০০ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলরাশিতে প্রায় ৩০০ প্রজাতির ঝিনুক পাওয়া যায় তবু এদেশে এটি খুব বেশি প্রসারিত হয়নি; যেমনটি হয়েছে পার্শ্ববর্তী ভারত, চীন ও জাপানে - এরা বিশ্বের অন্যতম প্রধান ঝিনুক শিল্পোন্নত দেশ।[২]

ঝিনুক বিভিন্ন ধরনের শিল্প হিসাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশে; যেমনঃ খাদ্য, রত্ন, সহায়ক, রসায়ন প্রভৃতি খাতে এটি ব্যবহৃত হয়।[১][২]
- খাদ্য শিল্প
পঞ্চাশেরও অধিক প্রজাতির ঝিনুক ভক্ষণযোগ্য। সামুদ্রিক ঝিনুক (ওয়েস্টার) বেশ দামি খাবার এবং অনেক দেশে এর খামার রয়েছে; যেমনঃ ভারতে বাণিজ্যিকভাবে সামুদ্রিক ঝিনুক উৎপাদন করা হয়।[৩]
- রত্ন শিল্প
হীরার পর সবচেয়ে দামী রত্ন বলে পরিচিত মুক্তার জন্ম হয় ঝিনুক হতে।[১] বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুদীর্ঘকাল থেকেই মুক্তা আহরণের জন্য ঝিনুক চাষ হয়; যেমনঃ চীনে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বছর আগে থেকে এর চাষ হয়ে আসছে।[৪]
- সহায়ক শিল্প
পরিবেশের জন্য ঝিনুক খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কারণ এটি পানি থেকে শৈবাল, জৈব পদার্থ, দ্রবীভূত ক্ষতিকারক উপাদান দূরীকরণের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে পানিকে পরিষ্কার রেখে মাছ চাষে সহাযতা করে।[৩]
- ↑ ক খ গ "সম্ভাবনাময় ঝিনুক শিল্প"। দৈনিক জনকন্ঠ অনলাইন। ৩০ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ রফিকুল আহসান (জানুয়ারি ২০০৩)। "ঝিনুক শিল্প"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ "বাণিজ্যিকভাবে শামুক-ঝিনুক চাষের উদ্যোগ সরকারের"। দৈনিক বণিক বার্তা অনলাইন। ২৯ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বাংলাদেশে ঝিনুক চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব"। AgroBangla.com। ২০১৮-০১-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮।
- ঝিনুক শিল্প - বাংলাপিডিয়া হতে সংকলিত নিবন্ধ।