bbc.com

ট্রাইব্যুনালের কড়া সমালোচনা অ্যামনেস্টির - BBC News বাংলা

  • ️https://www.facebook.com/bbcnews
  • ️Thu May 24 2012

ট্রাইব্যুনালের কড়া সমালোচনা অ্যামনেস্টির

bangla_war_crimes_tribunal

ছবির ক্যাপশান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়
  • Author, সায়েদুল ইসলাম তালাত
  • Role, বিবিসি বাংলা, ঢাকা
  • ২৪ মে ২০১২

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করছে না।

আ্যামনেস্টি ২০১১ সালের বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন আজ প্রকাশ করেছে, সেখানে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনাল নিয়ে একটি অধ্যায় রয়েছে।

সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরুতে এই বিচার প্রক্রিয়ায় অনেক ত্রুটি ছিল, তার কিছু কিছু সংশোধন করা হলেও এখনও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে এবং এই ট্রাইব্যুনাল পুরোপুরি আন্তজার্তিক মান অনুসরণ করতে পারছে না।

প্রতিবেদনটির বাংলাদেশ অধ্যায় নিয়ে অ্যামনেস্টির বাংলাদেশ গবেষক আব্বাস ফয়েজ বিবিসি বাংলাকে সরাসরি বলেছেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এখনো আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হতে পারেনি বলেই তারা মনে করেন।

অ্যামনেস্টি বলছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হলে এজন্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশাপাশি যাদের বিচার করা হচ্ছে, তাদের মানবাধিকার ও ন্যায় বিচারের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ গবেষক আব্বাস ফয়েজের কথায়, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন তাদের বিচার পাওয়ার অধিকার যেমন রয়েছে, তেমনি যাদের বিচার চলছে তাঁরা যাতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেন বা তাঁরা যেন নির্যাতনের স্বীকার না হন, সেটি নিশ্চিত করাও জরুরি।’

ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তকে যে দেশের অন্য কোন আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না, এটি মানবাধিকারের জন্য একটি বড় সমস্যা বলে তিনি অভিহিত করেন।

বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা বজায় রাখতেও তিনি পরামর্শ দেন। মি ফয়েজ অভিযুক্তদের জামিন পাওয়ার অধিকারের বিষয়টিও তোলেন এবং একই সঙ্গে সাক্ষ্যদানকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেন।

তবে মি ফয়েজ বলেন, জামিন পাওয়ার বিষয়ে কিংবা সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার পর আদালতের বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা ইতিবাচক।

bangla_war_crimes_defence

ছবির উৎস, focus bangla

ছবির ক্যাপশান, ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা (ফাইল ছবি)

কিন্তু বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা নিশ্চিত করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন আনা দরকার বলে অ্যামনেস্টির অভিমত এবং তাঁরা তাঁদের এই বক্তব্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন।

মি ফয়েজ বিবিসিকে আরও বলেন, ‘অভিযু্ক্তদের আইনজীবীরা যথাযথ তথ্য পাচ্ছিলেন না। এখানে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা আসলে ঠিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সাথে খাপ খায় না। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যে এসব ক্ষেত্রে আমরা মোটেই সন্তুষ্ট নই।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচার প্রক্রিয়া অ্যামনেস্টি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান মি. ফয়েজ।

সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোন গুরুতর ঘটনা ঘটলে তখন এগিয়ে এসে অ্যামনেস্টি আপত্তি জানাবে বলেও তিনি জানান।